এ এক ঘোর!
গ্ল্যামারের নেশা!
মানুষ গ্ল্যামারে আটকাবেই!
আমিও তার ব্যতিক্রম হতে পারিনি!
অতি সাধারণ এই আমি গ্ল্যামারের নেশায় পড়বো এটাতো খুবই স্বাভাবিক!
কিন্তু এমন অনেক নেশায় অনেকবার পড়েছি এবং...নিজে থেকেই উত্তরণের পথ বের করেছি।
এক সময় ব্লগের নেশায় পড়েছিলাম। #সামহোয়্যারইন_ব্লগ। সামহোয়্যারইন এর নেশাকে কী বলবো! ভয়াবহ!! নাহ আর কোন উপমা এই মুহূর্তে মাথায় আসছে না। বলা যায় প্রায় ২৪ ঘন্টা আমার পিসি খোলা থাকতো। বাসায় থাকি আর না থাকি। কলেজের মিটিং-এও মোবাইলের ভেতর ব্লগে ডুবে থাকতাম। কতোদিন প্রিন্সিপ্যাল স্যারের বকা খেয়েছি তার ইয়ত্তা নেই। বন্ধুদের সাথে খেতে গেলে ওদের বকা খেয়েছি কতোবার সেসব এখন কেবল স্মৃতি! তার পর একসময় ঘোর কাটতে শুরু করলো। আসলেই কি ঘোর কেটেছিল? তা নয় কিন্তু। আমি এখনো সামহোয়্যারইনের নেশায় পড়তে চাই। আমার ভালোবাসারা এমনই।
মানুষ নীল তিমির নেশার কথা বলে খুব চিৎকার চেচামেচি করলো। কিন্তু ফেসবুক!!!
একটা সময় মনে হতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এমন একটা জায়গা যেখানে কেউ চাইলে নিজেকে তৈরী করে রাজা বনে যেতে পারে। আবার কেউ নিজেকে নরকের কিটেও পরিণত করতে পারে। ফেসবুকও তেমনি এক জায়গা। গুগল প্লাস আর ফেসবুকে খুব বেশি পার্থক্য কি আছে? আছেতো বটেই। কিন্তু লালের চেয়ে নীলেই নেশা ধরে বেশি। তাই গুগল প্লাস রেখে আমরা ফেসবুকের নেশাতেই পড়ি বেশি। এখানে রেসপন্স খুব দ্রুত পাওয়া যায়। চাইলেই নিজেকে ইচ্ছেমতো করে উপস্থাপন করা যায়।
মুখোশ!!!
এই মুখোশের আড়ালে আমি কে?
.
.
এতোক্ষণ বকবক করার কারণ একটাই...আমি বেশ অনেকদিন ধরে লিখতে পারছি না। ব্লগে একটা পোস্ট দিব... ইচ্ছে, পরিকল্পনারা শুধু গুমড়ে মরছে। আমি না ফিচার লিখতে পারছি, না গল্প লিখতে পারছি। একসময় ক্যামেরার আড়ালে থাকতে পছন্দ করতাম। আর এখন মুখবইতে মুখ দেখাতেই যেনো ব্যস্ততা বেড়ে গেছে!!!
বাচ্চাদের সামনে এই নীলে আসতে চাই না। কেননা ওরাও এই নীল গ্ল্যামারে আসক্ত হোক তা কোনভাবেই চাই না।
ফেসবুকের টাইমলাইনে এতোটুকু লেখার পর যখন মনে হলো এটুকুই কেন আমি ব্লগে পোস্ট করছি না!? তখনই খেয়াল করলাম আমার নেট কানেকশান অচল হয়ে গেল! এবং আমি বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও নেট কানেক্ট করতে পারছি না। হয়তো এভাবেই আমি ব্লগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি!
কেননা এখন আমাকে কাজে যেতে হবে। পারলাম না ব্লগে পোস্ট দিতে। জানি না আদৌ পারবো কি না।
শুধু এটুকু বুঝতে পারছি… গ্ল্যামারের জগত থেকে নিজেকে বের করে আনতে হবে।
No comments:
Post a Comment