Tuesday, December 1, 2015

মনোযোগ


মনোযোগ নিয়ে লিখতে বসেছিলাম, কিভাবে কোন বিষয়ে নিজের মনযোগ বাড়ানো যায় এবং বিশেষ কোনো ব্যাপারে অন্যের মনোয়োগ আকর্ষণ করা যায়।

মনোযোগ হলো আমাদের মনের মধ্যে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি বা বিভিন্ন বস্তুর মধ্য হতে নির্দিষ্ট কোন একজনকে/একটিকে বেছে নিয়ে তার প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য করা অর্থাৎ তার কেন্দ্রস্থলে উপস্থাপিত করা।
মনোযোগ সাধারণত দেয়া হয় কোন ব্যক্তি বা বস্তুর নিজস্ব বেশিষ্ট্যের জন্য তাকে নির্বাচনে আমাদের বাধ্য করে এবং আমাদের মনের (চেতনার) কেন্দ্রে স্থান করে নেয় (প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো সামুর কিংবদন্তী হিসেবে খ্যাত ব্লগার [sb]নাফিস ইফতেখার[/sb])। আবার অনেক সময় আমাদের নিজেদের আন্তরিক চাহিদার দরুন অনেক সময় ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্বাচন করে থাকি।
মজার ব্যাপার হলো মনোযোগের মধ্যে আমরা নির্বাচন এবং পরিত্যাগ দুইই করে থাকি। যদিও পরিত্যাগ করাটাকে আমরা মনোযোগের সচেতন অংশ হিসেবে বিবেচনা করিনা।

যখন কোন ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি আমরা মনোযোগী হই তখন তার সমস্ত রকম দোষ-গুণ  আমাদের সামনে ফুটে উঠে (যেমন বলা যেতে পারে  প্রেসিডেন্ট যখন [sb]বিল ক্লিনটন[/sb] ছিলেন তখন যুক্তরাষ্ট্র ওপেন সেক্স এর দেশ হিসেবে আমাদের কাছে পরিচিত থাকলেও  সেদেশের জনগণ কিন্তু তার শুধু গুণেরই গান গাননি বরং মনিকা লিউনিস্কির সাথে তার সম্পর্ককে দোষের পাল্লাতেই বিচার করেছেন ) এবং যদিও আমাদের মনোযোগ দানকারী নির্দিষ্ট ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন অংশগুলি আমাদের চোখে পড়ে; কিন্তু একই সঙ্গে সেই ব্যক্তি সম্পর্কে আমরা একটি পরিপূর্ণ ধারণা পেয়ে যাই (সাধারণত)।

মনোযোগ কখনও খুব বেশি সময় ধরে নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি স্থির থাকতে পারেনা, সব সময় এক বস্তু থেকে অন্য বস্তুতে বা এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে স্থানান্তরিত হয় আর মনোযোগের এই স্থিরতা না থাকার কারণেই মানব-মানবীতে পরকীয়ার মতো বিপজ্জনক সম্পর্কের সূত্রপাত হয়। 


No comments:

Post a Comment

নির্বাচিত পোস্ট

'অবদমিত অভিমান'- ২০১৭ এর বইমেলায় প্রকাশিতব্য সময় প্রকাশন এর গল্প সংকলনের বই

প্রথম গল্প লিখেছিলাম আজ থেকে ২০ বছরেরও বেশি সময় আগে।