কিছু মানুষ আছে যারা প্রায় সময়ই এইভেবে অস্থির থাকে যে অন্য লোক বুঝি
তাদের পেছনে লেগেছে, ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। সন্দেহ প্রবণ এই ধরনের মানসিকতার লোক তার স্ত্রী/স্বামীকেও সন্দেহ করে থাকে । অনেক সময়ই এরা সন্দেহ করে অন্য লোক কেবল
তাদের নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্যই বুঝি এদের কাজে লাগায়। এরা নিজেদের
আত্নীয়, বন্ধু অথবা সহকর্মীদের ওপর আস্থা রাখতে পারে না।
স্বামী অথবা স্ত্রীর চরিত্রে সন্দেহ করে দাম্পত্য জীবনকে বিষিয়ে তোলে। অতি তুচ্ছ কারণে এরা অপমাণিত বোধ করে। কেউ এদের অপমান করছে, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছে এমন মনে হলে এরা সে কথা ভুলে যেতে পারে না, সচেতন মনে তো বটেই অবচেতন মনেও প্রতিশোধের সুযোগ খোঁজে। এরা কাউকে বিশ্বাস করতে পারে না, বিশ্বাস করে কাউকে কোনো কথা বলেও শান্তি পায় না। এরা তিলকে তাল করে দেখতে এবং নিরর্থক ঝগড়া-ঝাটি করতে বেশ অভ্যস্থ। অন্যের দোষ এরা দেখতে উৎসাহি হলেও নিজেদের বিরূপ সমালোচনা সহ্য করতে পারেনা একেবারেই। নিজেদের প্রাধান্য যেখানে নেই সেখানে এরা মিলেমিশে কাজ করতে স্বস্তি বোধ করে না।
যদিও এর নির্দিষ্ট কোনো কারণ দেখা যায়না, তবে
-যেসব পরিবারের সন্তানেরা মাত্রাতিরিক্ত শাষণে বড় হয়
-যেসব পরিবার অর্থনৈতিক ভাবে অস্বচ্ছল, সেসব পরিবারের সন্তান
-নিজ পরিবার বা কাছের কোন আত্নীয়ের সন্দেহপ্রবণ চরিত্র তার মধ্যে প্রভাব বিস্তার করেছে
-কখনো অন্যের কাছ থেকে অবিশ্বাসের কোনো ঘটনা তার জীবনে ঘটলে
- নিজে লুকিয়ে কোনো অন্যায় করলে তার আপনজন সেই ধরনের কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করলে সে (আপন জন) অন্যায় না করলেও তাকে সন্দেহের চোখে দেখে।
এরকম আরও কারণ থাকতে পারে। সন্দেহ এবং এর নঞর্থক প্রকাশ আপনাকে অন্যের কাছে তুচ্ছ, বিরক্তিকর একজন মানুষে পরিণত করতে পারে...তাই নিজের ভালোর জন্যে হলেও সন্দেহপ্রবণ মনকে জিজ্ঞেস করুন যা সন্দেহ করছেন তাতে কি কোন মঙ্গল আছে ? পৃথিবীতে হরেক রকমের মানুষের বাস তাই একই ঘটনা অন্যের জীবনের সাথে নাও মিলতে পারে । তবে মনের মধ্যে কোন কারণে সন্দেহ এলে তার যুক্তিযুক্তভাবে বিবেচনা করে সমস্যার সামধানে অগ্রসর হওয়াই ভালো । আশা করি কারণ যাই হোক সেসব থেকে নিজেকে সন্দেহ না করার মানসিকতা তৈরি করার মতো যথেষ্ঠ মনোবল আমার/ আপনার আছে।
সবাই সন্দেহমুক্ত জীবন পার করুন, শুভকামনা।
(০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১১)
স্বামী অথবা স্ত্রীর চরিত্রে সন্দেহ করে দাম্পত্য জীবনকে বিষিয়ে তোলে। অতি তুচ্ছ কারণে এরা অপমাণিত বোধ করে। কেউ এদের অপমান করছে, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছে এমন মনে হলে এরা সে কথা ভুলে যেতে পারে না, সচেতন মনে তো বটেই অবচেতন মনেও প্রতিশোধের সুযোগ খোঁজে। এরা কাউকে বিশ্বাস করতে পারে না, বিশ্বাস করে কাউকে কোনো কথা বলেও শান্তি পায় না। এরা তিলকে তাল করে দেখতে এবং নিরর্থক ঝগড়া-ঝাটি করতে বেশ অভ্যস্থ। অন্যের দোষ এরা দেখতে উৎসাহি হলেও নিজেদের বিরূপ সমালোচনা সহ্য করতে পারেনা একেবারেই। নিজেদের প্রাধান্য যেখানে নেই সেখানে এরা মিলেমিশে কাজ করতে স্বস্তি বোধ করে না।
যদিও এর নির্দিষ্ট কোনো কারণ দেখা যায়না, তবে
-যেসব পরিবারের সন্তানেরা মাত্রাতিরিক্ত শাষণে বড় হয়
-যেসব পরিবার অর্থনৈতিক ভাবে অস্বচ্ছল, সেসব পরিবারের সন্তান
-নিজ পরিবার বা কাছের কোন আত্নীয়ের সন্দেহপ্রবণ চরিত্র তার মধ্যে প্রভাব বিস্তার করেছে
-কখনো অন্যের কাছ থেকে অবিশ্বাসের কোনো ঘটনা তার জীবনে ঘটলে
- নিজে লুকিয়ে কোনো অন্যায় করলে তার আপনজন সেই ধরনের কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করলে সে (আপন জন) অন্যায় না করলেও তাকে সন্দেহের চোখে দেখে।
এরকম আরও কারণ থাকতে পারে। সন্দেহ এবং এর নঞর্থক প্রকাশ আপনাকে অন্যের কাছে তুচ্ছ, বিরক্তিকর একজন মানুষে পরিণত করতে পারে...তাই নিজের ভালোর জন্যে হলেও সন্দেহপ্রবণ মনকে জিজ্ঞেস করুন যা সন্দেহ করছেন তাতে কি কোন মঙ্গল আছে ? পৃথিবীতে হরেক রকমের মানুষের বাস তাই একই ঘটনা অন্যের জীবনের সাথে নাও মিলতে পারে । তবে মনের মধ্যে কোন কারণে সন্দেহ এলে তার যুক্তিযুক্তভাবে বিবেচনা করে সমস্যার সামধানে অগ্রসর হওয়াই ভালো । আশা করি কারণ যাই হোক সেসব থেকে নিজেকে সন্দেহ না করার মানসিকতা তৈরি করার মতো যথেষ্ঠ মনোবল আমার/ আপনার আছে।
সবাই সন্দেহমুক্ত জীবন পার করুন, শুভকামনা।
(০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১১)
No comments:
Post a Comment