ঋতুপর্ণ ঘোষ এর রেইনকোট দেখলাম।
এটাই প্রথমবার না। এর আগেও কয়েকবার কিছু অংশ দেখে ছেড়ে দিয়েছি। টানতে পারে নি আমায়। স্লো বলেই হয়তো... অথবা ইদানিং হিন্দি চ্যানেলের অনাগ্রহটাও হয়তো ভর করেছিল সিনেমাটা দেখার সময়।
যাই হোক, বেশ কিছুদিন/মাস ধরেই নারীদের শক্ত অবস্থানে থাকা সিনেমা খুঁজতাম মনে মনে। তা যে কোন ভাষারই হোক।
ঋতুপর্ণ ঘোষের 'দহন', 'খেলা', 'উনিশে এপ্রিল' দেখে আমার সেই আগ্রহ যথেষ্টই মিটেছে।
বলছিলাম 'রেইনকোট' এর কথা ।
অনেক বড় ঘরণী ঘর পায় না...
অনেক বড় সুন্দরী বড় পায় না...
এককথায় এই হলো রেইনকোট.......।।
প্রথম দিকে ঝিমানো ভাব থাকলেও সিনেমাটার মাঝ বরাবর এসে নীরুর অনুপস্থিতিতে বাড়িওয়ালার আগমন এবং এরপর ঘটে যাওয়া বিষয়গুলোই দর্শকদের চাঙ্গা করে তুলতে যথেষ্ট।
একটা বিষয় খুব অবাক করা ! আমার খুব পরিচিত একজন তার বিয়ের প্রথম ৩ বছর তার বাসায় জানায়ই নি যে কতোটা মানসিক অশান্তিতে আছে। বরং শ্বশুড়বাড়ির যতো পজিটিভ কথা সে সবাইকে বলে বেড়াতো হাসি মুখে ।
৩ বছর পর সেই পরিচিতার নিকটাত্নীয় ওর শ্বশুরবাড়িতে এসে ইনকোয়ারী করলে বেড়িয়ে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর, কষ্টকর জীবনের কাহিনী।
যাই হোক...আমি নীরুর হাসি মুখে একেরপর এক বলা ভোলানো কথায় একটু সন্দেহ করছিলাম বটে ! কিন্তু তা এমন নির্মম সত্য হবে ! বুঝি নি।
আর ভালোবাসা সত্যিকারের হলে ভালোবাসার মানুষটির যে কোন ক্ষতি দেখে অন্যপক্ষ যখন সেই কষ্ট দূর করার জন্যে নিদোর্ষ চেষ্টা করে তখন সেই ভালোবাসাকেই কি স্বর্গীয় ভালোবাসা বলে ?
The Gift of the Magi যারা পড়েছেন তারা রেইনকোট-এর সার্থকতা ভালো বুঝতে পারবেন।
No comments:
Post a Comment